Know info before watch, but no Spoiler

হ্যারি পটার এন্ড দ্যা চেম্বার অফ সিক্রেটস রিভিউ


প্রথম একটি রোমাঞ্চকর বছরের শেষে ডার্সলি ফ্যামিলিতে ছুটি কাটানো হ্যারি তার বাবা মায়ের ছবি দেখছে, এই দৃশ্যের মাধ্যমে ছবি শুরু হয়।  নিচতলায় ডার্সলি পরিবারে উৎসব উৎসব আমেজ। হ্যারিকে বলা হয়েছে উপরে যেন চুপ করে বসে থাকে কোন প্রকার শব্দ না হয়, ভার্ণনের ক্লাইন্ট ও তার স্ত্রী এসব পছন্দ করেন না, হ্যারির ও এসব ঘাটানোর ইচ্ছে নেই, কিন্তু ঝামেলা তার পিছু ছাড়বার নয়, হ্যারির রুমে এসে হাজির হয় হাউজ এলফ ডবি,  হ্যারিকে হাতে পায়ে ধরে সাবধান করে এই বছর হগওয়ার্টসে ফিরে না যেতে, কারন এই বছর ভয়ংকর সব ঘটনা ঘটবে হগওয়ার্টসে, যার প্লট সাজানো হয়ে গেছে, হ্যারি কোন ভাবেই ডবির কথা কানে তুলেনা, তাই ডবি হ্যারিকে আটকানোর জন্য আংকেল ভার্ণনের গেস্টের মাথায় আস্ত কেক ফেলে দেয় আর উধাও হয়ে যায় নাম পরে হ্যারির, আর হ্যারি গৃহবন্দী হয়।
ছুটি শেষ হয়ে আসছে, হ্যারির কোন খবর না পেয়ে তার বন্ধু রন উড়ন্ত গাড়ী নিয়ে আসে রেসকিউ মিশনে, ভার্ণনের বাড়ির জানালা ভেঙে উদ্ধার করে হ্যারিকে প্রথমবারের মতো নিয়ে যায় উইজলি ফ্যামিলির বাড়ি "দ্যা ব্যারো" তে। হ্যারি প্রথমবারের মতো কোন জাদুকরী বাড়িতে গিয়ে রীতিমতো চমকিত হয়,ঘরের সব কাজ জাদুর মাধ্যমে নিজে নিজে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে পুলকিত ভাবটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনা হ্যারি, মলি এসে তার ছেলেদের বকাঝকা শুরু করে গাড়ী চুরি করার জন্য, উপর থেকে জিনি উইজলি এসে হ্যারিকে দেখে লজ্জা পেয়ে আবার দৌড়ে পালায়। এমন সময় আবির্ভাব ঘটে আর্থার উইজলির, রনের, জর্জ,ফ্রেড,জিনি উইজিলির বাবা তারা সকলে মিলে বই কেনার জন্য ফ্লু পাউডার দিয়ে ডায়গন আ্যলিতে যায়। কিন্তু হ্যারি আগে ফ্লু পাউডার ব্যাবহার না করায় ভুল করে নকটার্ন আ্যলির একটি দোকানে চলে যায়, সেখানে দেখতে পায় লুসিয়াস ম্যালফয় আর তার ছেলে ড্র‍্যাকো ম্যালফয় কিছু বিক্র‍য় করতে এসেছে।হ্যারি সেখান থেকে এসে রন আর হারময়নির দেখা পায়, তারা সকলে মিলে বিখ্যাত লেখক গিল্ডরয় লকহার্টের দোকানে যায়। হ্যারিকে গিল্ডরয় লকহার্ট চিনতে পারে আর একসেট বই উপহার দেয়। এটা দেখে ম্যালফয় ফ্যামিলির সাথে হ্যারি আর উইজলি ফ্যামিলর দ্বন্দ্ব বাঁধে।
ঝামেলা যেন হ্যারির পিছু ছাড়েইনা, হ্যারি আর রন হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস মিস করে বসে, তারা তাদের উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে রওনা হয় হগওয়ার্টসের দিকে। গাড়ি তাদের হগওয়ার্টসে পৌছে দেয় ঠিকি কিন্তু তাদের নামিয়ে নিয়ে নিজে নিজে  ডার্ক ফরেস্টের দিকে চলে যায়। যার বদৌলতে রন তার মায়ের থেকে হাউলার পায়।
প্রফেসর কুইরেল মারা যাবার পর ডার্ক আর্টস ক্লাসের টিচার হয় গিল্ডরয় লকহার্ট! যে কিনা নিজের সুনাম করতেই ব্যাস্ত। অন্য দিকে হ্যারি দেয়ালের ভেতর থেকে কোন অদ্ভুত শব্দ শুনতে পায় যা শুধু একটাই কথা বলে "Kill"
হ্যারি দৌড়ে করিডোরে যায় সেখানে দেখে ফিলচের বেড়াল পোট্রিফাইড হয়ে পরে আছে, আর পাশে লিখা "চেম্বার অফ সিক্রেট খুলে গেছে শত্রুদের উত্তরসূরিরা ভয় পাও"।  পাশ দিয়ে দেখা যায় কিছু মাকড়শা ভবন থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
চেম্বার অফ সিক্রেটস আসলে কি তা প্রফেসর ম্যাকগোনাগল এর কাছে জানতে চায় হ্যারি, উনি উত্তর দেয় হগওয়ার্টসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সালাজার স্লিদারিন এই ক্যাসেলে একটি গোপন চেম্বার নির্মান করে যান। যা একমাত্র তার আসল উত্তরসূরি ই খুলতে পারবেন। আর সেই গোপন চেম্বারের ভেতর রয়েছে মনস্টারের বসবাস। অন্য দিকে হগওয়ার্টসের গোস্ট নিয়ারিলি হেডলেস নিক, কলিন ক্রিভি পেট্রিফাইড হয় রহস্যজনক ভাবে। হ্যারি রন হারমোয়নি ধারনা করে এসব কিছুর পেছনে ড্র‍্যাকোর হাত থাকতে পারে, তাই তারা পোলিজুস পোশন ব্যাবহার করে ক্রাব আর গোয়াল এর রূপ ধরে ড্রাকোর কাছে যায় কথা বের করতে।
এদিকে হ্যারি মোয়ানিং মর্টালের বাথরুমে এসে একটি অদ্ভুত ডায়েরি পায়, যেটায় কিছু লিখলেই গায়েব হয়ে যায়। হ্যারি জানতে পারে ডায়েরীর মালিকের নাম টম রিডল। সে হগওয়ার্টসের একজন প্রাক্তন ছাত্র, হ্যারি ডায়রীর কাছে চেম্বার অফ সিক্রেটসের ব্যাপারে জানতে চায়, ডায়রী হ্যারিকে দেখায় অনেক বছর আগে হ্যাগ্রিড চেম্বারটি খুলেছিল, যা টম রিডল ধরে ফেলে। আর সে চেম্বারের মন্সটার আসলে একটি মাকড়শা যার নাম এরাগগ।
হ্যারি রন হারমোয়নি হ্যাগ্রিডের কাছে জানতে চায়, হ্যাগ্রিড বলে সে চেম্বার ওপেন করেনি, আর এরাগগ কাউকে হত্যাও করেনি, এই সময় জাদুমন্ত্রী কর্নেলিয়াস ফাজ সাথে লুসিয়াস ম্যালফয় এসে হ্যাগ্রিডকে ধরে আজকাবানে নিয়ে যায় পুনরায় চেম্বার খোলার অপরাধে। যাওয়ার সময় হ্যাগ্রিড বলে মাকড়শা দের অনুসরণ করো, সব উত্তর পাবা। অন্য দিকে হারমোয়নিও অজানা কারনে পেট্রিফাইড হয়ে যায়। রন আর হ্যারি মাকড়শা কে ফলো করতে করতে ডার্ক ফরেস্টের ভেতর চলে যায়, সেখানে দেখা হয় এরাগগ এর সাথে, এরাগগ জানায় চেম্বারে এমন এক মন্সটার আছে যে কিনা শুধু মাকড়শাকেই ভয় পায়। এই কথা বলে এরাগগ হ্যারি আর রন কে খেয়ে ফেলার অনুমতি দেয় তার বাচ্চাদের। সেখান থেকের রনের উড়ন্ত গাড়ি তাদের রক্ষা করে।
কিন্তু তারা কোন ভাবেই বের করতে পারছিলোনা চেম্বারের ভেতর কি রয়েছে কিভাবে এতো ছাত্রছাত্রী পেট্রিফাইড হচ্ছে। এদিকে জিনিয়াস হারমোয়নিও নেই, তারা হারমোয়নির কাছে গিয়ে তার হাতে একটি কাগজ পায়, যেখানে লিখা চেম্বারের ভেতর রয়েছে বাসিলিস্ক। যার চোখে চোখ পরলেই মৃত্যু অবধারিত,  আর বাসিলিস্ক যেহেতু একটা সাপ তাই হ্যারি তার চলাফেরা শব্দ সব টের পায়। কিন্তু কারো চোখ ই সরাসরি বাসিলিস্কের চোখে পরেনি তাই কেউই মারা যায়নি সবাই পেট্রিফাইড হয়েছে।
এসব জানতে পারার পরপর ই রনের ছোটবোন জিনিকে চেম্বারের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে বাঁচাতে গিল্ডরয় লকহার্টের উপর দায়িত্ব পরে। কিন্তু সে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধরে ফেলে রন আর হ্যারি, তাকে ধরে নিয়ে যায় মোয়ানিং মর্টালের বাথরুমে যেখানে রয়েছে চেম্বার অফ সিক্রেটসের দরজা। হ্যারি পার্সেলটাং ব্যাবহার করে দরজা খুলে ফেলে আর ভেতরে যায় তিনজন, সেখানে লকহার্ট পালাতে হ্যারি আর রনের উপর স্পেল ছুড়ে মারে কিন্তু স্পেল ব্যাকফায়ার করে নিজের ই মেমরী চলে যায়। অন্য দিকে হ্যারি চেম্বারের ভেতর ঢুকে দেখে জিনি মেঝেতে পরে আছে, পাশে দাঁড়িয়ে আছে ডায়েরীতে থাকা টম রিডল। টম রিডল বলে আমার নাম ই লর্ড ভল্ডমোর্ট। আজ জিনি মারা যাবে আর আমি বেঁচে উঠবো, চেম্বার আসলে জিনিকে দিয়ে আমি ই খুলিয়েছি।এবং অনেক বছর আগে আমি ই চেম্বার খুলেছিলাম। আমি ই সালাজার স্লিদারিনের আসল উত্তরসূরী। অপর দিকে কৌশলে হ্যারির জাদুদণ্ড ও নিয়ে নেয় টম রিডল, কিন্তু হ্যারিকে সাহায্যের জন্য ডাম্বেরলডোর তার ফিনিক্স পাখি আর হ্যাট পাঠায়, যার ভেতর থাকে গড্রিচ গ্রিফিন্ডোরের তলোয়ার,  ফিনিক্স বাসিলিস্কের চোখ অন্ধ করে দেয় আর হ্যারি সেই তলোয়ার দিয়ে বাসিলিস্ক কে হত্যা করে।আর বাসিলিস্কের দাঁত দিয়ে টম রিডলের ডায়েরী ধ্বংস করে ফেলে। সাথে সাথে জিনির জ্ঞান ফিরে আসে। বাসিলিস্কের একটি দাঁত হ্যারির হাতে ঢুকে যায়, কিন্তু ফিনিক্স পাখির চোখের পানির কল্যানে হ্যারি সে যাত্রায় রক্ষা পায়। যারা পেট্রিফাইড হয়েছিল তারাও ম্যাডাম পামফ্রের সেবায় সেড়ে উঠে।
পরবর্তীতে জানা যায় লুসিয়াস ম্যালফয় উইজলি ফ্যামিলের সাথে ঝামেলার সময় কৌশলে জিনির ব্যাগে টম রিডলের ডায়েরী রেখে দেয়, সেখান থেকেই জিনিকে সম্মোহিত করে এসব কাজ ঘটায় টম রিডলের স্মৃতি। আর এসব জানতে পেরে ম্যালফয় ফ্যামিলের হাউজ এলফ ডবি হ্যারিকে সাবধান করতে আসে। হ্যারি কৌশলে ম্যালফয়ে কাছ থেকে ডবিকে মুক্ত করে দেয় আর হ্যারিও তাকে মুক্ত ঘোষণা করে। যার ফলে ডবি একজন ফ্রি এলফ হয়ে যায়। আর আসল কালপ্রিট ধরা পরায় হ্যাগ্রিড ও আজকাবান মুক্তি পায়।
এভাবেই হ্যারি পটারের আরো একটি রোমাঞ্চকর বছরের সমাপ্তি হয়। রন হারমোয়নি হ্যারি যার যার বাড়িতে ফিরে যায় নতুন বছর শুরুর অপেক্ষায়।

মুভিতে অনেক প্লটহোল,প্লটজাম্প আছে! যা
অন্য মুভিতে গিয়ে ক্লিয়ার হয়, তাই প্রথম দেখায় মুগ্ধ না হলেও সব গুলো দেখার পর বুঝা যাবে হ্যারি পটার সিরিজের অন্যতম ইম্পরট্যান্ট মুভি এটা।
পার্সোনাল রেটিংঃ ৯.৫
আই এম ডি বি রেটিংঃ ৭.৪
রোটেন টমাটোঃ ৮৩%

হ্যারি পটার এন্ড দ্যা ফিলোসফার্স স্টোন রিভিউ


রিভিউ লিখা শুরু করার আগে জানা উচিৎ  হ্যারি পটার আসলে কে, হ্যারি পটার হলো অনাথ একটি ছেলে যে তার বাবা মাকে একটি কার এক্সিডেন্টে হারায় তারপর থেকেই সে  ডার্সলি ফ্যামিলিতে বড় হতে থাকে তার খালার তত্ত্বাবধায়নে। যেখানে সে বরাবর ই অবহেলিত নির্যাতিত,  সিড়িঘরের ছোট্ট কামড়ায় তার বসবাস, ঘরের ছোটখাটো কাজ করা, খালাতো ভাইয়ের অত্যাচার সহ্য করে আর খালাতো ভাইয়ের পুরনো হয়ে যাওয়া জামাকাপড় পরেই আস্তে আস্তে আমাদের হ্যারি পটার বড় হতে থাকে।

হ্যারি পটারের ভেতরে যে কিছু অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে তা প্রথম বোঝা যায় একবার চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়ে, একটি সাপের সাথে সে পার্সেলটাং ভাষায় কথা বলে নিজের অজান্তেই। তার মনের চাওয়াতে সাপের খাচার কাঁচটি উধাও হয়ে যায় সাপটি মুক্তি পায়। কিন্তু এর রহস্য কি?  কেন ছেলেটি সকলের থেকে আলাদা?  তার সকল উত্তর মেলে ছেলেটির এগারোতম জন্মদিনের রাতে।
হগওয়ার্টস নামক কোন স্কুল থেকে হ্যারিপটারের নামে নিয়মিত চিঠি আসতে থাকে পেচা মারফত, প্রথমে কিছু কিছু চিঠি ছিড়ে ফেলা হয়, কিছু লুকনো হয় কিছু পুড়িয়ে ফেলা হয়, তবুও আংকেল ভার্নন আর আন্ট পেটুনিয়া এই অদ্ভুত চিঠি আসা কোন ভাবেই বন্ধ করতে না পেরে পালিয়ে যায় নির্জন একটি দ্বীপে, সব কিছু ছেড়ে,
সেখানেই আমাদের হ্যারি প্রতিবারের মতো একা একা জন্মদিন বানানোর প্রস্তুতি নেয় মেঝেতে শুয়ে। কিন্তু বিধিবাম,  এই নির্জন দ্বীপে ঝড়ের রাতে ঠিক বারোটায় উপস্থিত হয় দৈত্যাকার আকারের রুবিয়াস হ্যাগ্রিড। যে কিনা হগওয়ার্টস স্কুলের গেটকিপার, সে এসেই হ্যারি পটারকে খোঁজা শুরু করে এবং তাকে প্রথমবারের মতো বার্থডে উইশ করে।
সেদিন হ্যারি পটার জানতে পারে, তার সাথে ঘটা সকল অদ্ভুত  ঘটনার উত্তর। হ্যারি পটার সেদিন জানতে পারে সে কোন সাধারণ ছেলে নয়, সে একজন জাদুকর,  শুধু জাদুকর ই নয়,  জাদু দুনিয়ায় সে রীতিমতো বিখ্যাত একজন ছেলে, যেখানে বিখ্যাত সকল বইয়ে তার নাম রয়েছে।  সে এটাও জানতে পারে তার বাবা মা কার ক্রাশে মারা যায়নি! ঐতিহাসিক কোন কারনে মারা গিয়েছে সাহসী জেমস আর লিলি পটার। হ্যাগ্রিড তাকে এসেছে জাদুবিদ্যা শেখার স্কুল "হগওয়ার্টস স্কুল অফ উইচক্রাফট এন্ড উইজার্ডি" তে নিয়ে যেতে, যেখানের বর্তমান হেডমাস্টার স্মরণকালের সেরা হেডমাস্টার যার নাম "এলবাস ডাম্বেলডোর"  এবং তার নির্দেশেই হ্যারি  এতো বছর তার খালাদের পরিবারে ছিলো। কোন এক বিশেষ কারনে।
এগারো বছরের অবহেলিত ছেলে হ্যারি পটার এতো কিছু শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেনা। সে ধরেই নেয় সে স্বপ্ন দেখছে বা সে আসলে আসল হ্যারি পটার নয়, কোথাও কোন ভুল হচ্ছে। কিন্তু হ্যাগ্রিডের সাথে "ডায়গন আ্যলিতে" যাদুসামগ্রী কিনতে যওয়ার সময় টের পায় তার সে আসলেই বিখ্যাত একজন ছেলে, যাকে একবার দেখতে পেয়ে সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। সকলে তাকে দেখা মাত্রই চিনে যায়। হ্যারি হ্যাগ্রিডের সাথে তার প্রথম যাদুদণ্ড কিনে, আর প্রথমবর্ষের সকল প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে। তারপর কিংক্রস স্টেশনে হাজির হয় হওগওয়ার্টসের উদ্দেশ্যে এক রোমাঞ্চকর যাত্রার জন্য। সেখানে ট্রেনে তার পরিচয় হয় রন উইজলি আর হারমোয়নি গ্রেঞ্জারের সাথে।যারা হ্যারির কপালে থাকা সেই বিখ্যাত স্কার দেখে অবাক হয়ে যায়, এবং তারা তিনজনেই সর্টিং হ্যাটের মাধ্যমে গ্রিফিন্ডর হাউজ পায়।  অন্যদিকে হ্যারি পটারের সাথে বন্ধুত্ব করতে আসা অন্য রয়েল ফ্যামিলির ছেলে ড্র‍্যাকো ম্যালফয় পায় স্লিদারিন হাউজ! হগওয়ার্টস স্কুলে আরো দুটি হাউজ রয়েছে যথাক্রমে রেভেনক্ল আর হাফলপাফ।প্রতিটি হাউজের নামকরণ হয়েছে হগওয়ার্টসের চার প্রতিষ্ঠাকারীর নামে। প্রতিটা হাউজের নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে।
স্কুলে এসে বিভিন্ন স্যারদের সাথে পরিচয় হয় হ্যারির,  পোশন শিক্ষার স্যার সেভেরাস স্নেইপের সাথে পরিচয় হয় যে কিনা সব সময় ডার্ক আর্টসের টিচার হতে চায়, ডার্ক আর্টস টিচার কুইরেলের সাথে পরিচয় হয়, গ্রিফিন্ডর হাউজের প্রধান প্রফেসর ম্যাকগোনাগল এর সাথে পরিচয় হয় যিনি হ্যারিকে পরবর্তীতে কুইডিচ খেলার সর্বকনিষ্ঠ সীকার হিসেবে নিযুক্ত করেন, 
হ্যারি দেখা পায় হগওয়ার্টস স্কুলের সর্বশ্রেষ্ঠ হেডমাস্টার প্রফেসর ডাম্বেলডোরের। এতো সবের মাঝে তার দিনগুলো স্বপ্নের মতো কাটতে থাকে। কিন্তু বিখ্যাত ছেলেটির বিপদ যেন কাটেইনা,  সিড়ির নিজস্ব নড়াচড়ার কারনে হ্যারি,রন, হারময়নি এক্সিডেন্টলি হগওয়ার্টসের নিষিদ্ধ এরিয়াতে চলে যায়, সেখানে গিয়ে ধরা খায় হগওয়ার্টের কেয়ারটেকার ফিলচের বিড়াল মিসেস নরিসের হাতে,তার থেকে বাঁচতে তিনজন একটি রুমের দরজার আড়ালে লুকায়, সেখানে গিয়ে তিন মাথাওয়ালা বিশাল কুকুর ফ্লাফির সামনে গিয়ে পরে তারা, কোনরকমে সেখান থেকে জীবন নিয়ে পালায় , তখন তাদের মাথায় খটকা লাগে এতো ভয়ংকর একটা প্রাণী এই ভবনের ভেতর কি করছে! তারা সে ব্যাপারে জানতে হ্যাগ্রিডের কাছে গিয়ে, জানতে পারে ব্যাপারটি খুবই গোপনীয়, তবে হ্যাগ্রিড ভুল করে নিকোলাস ফ্লামেলের নাম বলে ফেলে, এবং তারা বুঝতে পারে কুকুরটি আসলে ফিলোসোফার্স স্টোন প্রটেক্ট করছে যা কিনা যে কোন মেটাল কে স্বর্ণতে পরিণত  করে, আর অমৃত সুধা প্রোডিউস করে।  হ্যারি ধারনা করে প্রফেসর স্নেইপ সেই পাথরটি চুরি করতে চাচ্ছে, যার করনে সে কুইডিচ ম্যাচে হ্যারিকে মারতে চায় আর হ্যালোয়িনের দিন একটি আস্ত ট্রল কে ভবনের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়।
হ্যারি,রন,হারময়নি তিনজন মিলে সেই কুকুরকে পার করে ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায় আর সেখানে গিয়ে দেখতে পায় চেজবোর্ড, সেই চেজবোর্ডে দাবা না খেলে পার হওয়ার কোন উপায় নেই, রন সেই ভয়ংকর খেলায় লীড দেয় আর জিতে যায়, হ্যারি ভেতরে গিয়ে সেখানে স্নেইপের বদলে দেখতে পায় প্রফেসর কুইরেল কে,  আর জানতে পারে স্নেইপ তাকে মারতে নয় বাঁচাতে চেয়েছে, স্নেপের কারনেই হ্যারিকে কুইরেল মারতে পারেনি।কুইরেলের পাগড়ি খোলার পর হ্যারি দেখতে পায় তার পেছনে আরেকটি মাথা, যে কিনা ইউ নো হু বা লর্ড ভল্ডোমর্ট নামে পরিচিত। তাকে ক্ষমতায় আনতেই কুইরেল ফিলোসফার্স স্টোনটি খুঁজছে,  কিন্তু হ্যারি "মিরর অফ এরিসেড" এ দেখতে পায় হ্যারির পকেটে রয়েছে সে স্টোনটি। কুইরেল সেটি হ্যারির কাছে চাইলে হ্যারি দিতে রাজী হয়না, তখন ভল্ডোমর্ট হ্যারিকে মেরে ফেলতে বলে, কিন্তু হ্যারিকে স্পর্শ করা মাত্রই কুইরেলের হাত পুড়ে যায় কোন এক অজানা কারনে। হ্যারি তার হাত লাগিয়ে কুইরেল কে ধ্বংস করে এবং আরেকবার হ্যারির কাছে পরাস্ত হয় লর্ড ভল্ডমোর্ট। বাতাসে মিলিয়ে যাওয়ার আগে বলে যায় আমি আবার ফিরে আসবো।

এভাবেই হ্যারিপটার মুভির প্রথম ছবিটি শেষ হয়। এই ছবিতে তিন বাচ্চার বন্ধুত্ব সাহসিকতা অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠেছে, যাদের সাহসিকতার উপর ভর করে গ্রিফিন্ডর হাউজ বাৎসরিক হাউজ কাপ জিতে, আর একটি বছরের সমাপ্তি হয়। সকলে যার যার বাড়িতে যায় ছুটি কাটাতে। হ্যারিও ফিরে যায় ডার্সলি পরিবারে অসংখ্য সুখ স্মৃতি নিয়ে।
হ্যারি পটারের প্রথম ছবি বা স্টার্টিং হিসেবে মুভিটি অসাধারণ।  মন কাড়ার মতো বলা চলে। ধাপে ধাপে একটি অনাথ ছেলের বিখ্যাত জাদুকর হয়ে উঠা খুব সুন্দর ভাবে দেখানো হয়েছে।

ছবিটি পার্সোনাল রেটিং-৯.৮
আইএমডিবি রেটিং- ৭.৫
রোটেন টমাটো- ৮১%