Know info before watch, but no Spoiler

Memories of Murder (2003) Movie Review || মুভি রিভিউ

Memories of  Murder  (2003)

সাইথ কোরিয়ানরা তাদের মুভি দক্ষতায় দিনে দিনে ওয়ার্ল্ড মুভি লাভারদের মন জয় করে নিয়েছে। তাদের মুভির গল্পে আপনি একটু একটু করে ঢুকবেন আর শেষ করবেন একরাশ মুগ্ধতার ঢেকুর তুলে। এককথায় কোরিয়ানরা দর্শকের মন ব্রেন নিয়ে খেলতে জানে।

Memories of Murder মুভির পটভূমি তৈরী হয়েছে একটি সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ১৯৮৬-১৯৯১ তে দক্ষিন কোরিয়ার একটি ছোট্ট প্রদেশে ঘটে যায় বেশ কয়েকটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। ঐ সময়ে হত্যা হতে থাকে একের পর এক মেয়ে। উদ্ভব হয় এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার এর।

মুভির শুরুটা হয় অল্পবয়স্ক এক নারীর মৃতদেহ খুঁজে পায় পুলিশ মাঠে সেটি দিয়ে।কোন ক্লু বা তথ্য কিছুই থাকে না। ঐ নারীকে মূলত ধর্ষন করে হত্যা করা হয়। পুলিশ যখন এই হত্যার রহস্য উন্মোচনে ব্যস্ত ঠিক তখনই একই জায়গায় আরেকটি ধর্ষিত নারীর মৃত দেহ।এবং এই দুটো খুনের মধ্য একধরনের মিল খুঁজে পায় পুলিশ।কি ধরনের মিল পায় পুলিশ তা আপনারা দেখলেই বুঝবেন…। এই খানে মফঃস্বল পুলিশের ভূমিকায় আশানুরূপ সাফল্য না পাওয়ায় সিউল থেকে এক গোয়েন্দাকে তলব করা হয়। মুভির মাঝে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের বেশ সময় আমরা বেশ কয়েকটি হাস্যরসাত্মক উপাদান খুঁজে পাবো।মোট কথা এই মুভিটি তে ড্রামা,রহস্য,কমেডি,ইমোশন সবই আছে।সেই শহুরে ডিটেকটিভ আর মফস্বলের ডিটেকটিভের মধ্য অন্তদ্বন্দ্ব আমরা এই খানে দেখতে পাবেন প্রবল,অনেকটা যেন আমাদের বাস্তব জীবনেই যেন অংশ। এরই মধ্য খুনি খুন করে আরো এক নারীকে।ডিটেকটিভদের তখন মাথা পাগল অবস্থা…নেই কোন ক্লু,নেই কোন সাক্ষি।এটা দেখে সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের লোকাল সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর কথা মনে পরে গেল। সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে ডিটেকটিভরা আরো সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করলো। এমন হতে হতে তারা একটা ক্লু পেলো..খুনি একটি নিদিষ্ট সময়ে খুন করে..এবং খুন করার আগে সে রেডিওতে একটা নিদিষ্ট গানের রিকোয়েস্ট পাঠায়।অনেকটা কাকতালীয় হলেও তারা এই তথ্য নিয়ে খোঁজা শুরু করে খুনিকে। ঠিক সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে,শহুরে ডিটেকটিভ এক নারী কে খুঁজে পায় যাকে কিনা খুন করেনি ঐ খুনি। সে তার কথা রেকর্ড করে এবং একটা তথ্য পায়,যে খুনির হাত মেয়েদের মত নরম। এরই মাঝে ঘটে যায় আরো কিছু ঘটনা…পুলিশ সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গ্রেফতার করে এক ব্যাক্তিকে চরম এক শ্বাসরুদ্ধ কর পরিস্থিতিতে। আবার সেই রেডিওর গানের সূত্র ধরে ডিটেকটিভরা গ্রেফতার করে এক ব্যক্তিকে যে কিনা আবার সামরিক বাহিনী হতে ফেরত।এবং তারা দেখতে পায় তার হাত অনেক নরম,ঠিক যেন মেয়েদের মত।কিন্তু তাদের কাছ কোন ক্লু নেই এই ব্যাক্তিকে আটকে রাখার জন্য।এক সময় তারা তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এরই মাঝে ঘটে আরো একটি হত্যাকান্ড।ডিটেকটিভ নিশ্চিত থাকে যে এই ব্যক্তিই খুনি। তারা তার DNA টেষ্ট করানোর জন্য চেষ্টা করে কিন্তু এই পরীক্ষার ব্যবস্থা তখন সেখানে ছিলনা বিধায় তারা পরীক্ষার সব উপকরন আমেরিকায় পাঠায় এবং ঐ ব্যক্তিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়…শহুরে ডিটেকটিভ ফলো করতে থাকে ঐ সন্দেজনক ব্যক্তিকে এবং একদিন বৃষ্টির রাত আসে এবং রেডিওতে সেই গান বাজে। ডিটেকটিভ তখন পাগলপ্রায় খুনীর পিছু নিতে।কিন্তু পারে না। ঐ দিন খুন হয় আরো এক কিশোরী। অনেকটা উন্মাদ হয়ে শহুরে ঐ ডিটেকটিভ হামলে পড়ে ঐ ব্যক্তির উপর। এর মধ্যে চলে আশে DNA টেস্টের রিপোর্ট। কিন্তু কি কি ছিলো সেই রিপোর্টে? জটলা কি খুলবে?

” Memories Of Murder ” পরিচালক Bong Joon-ho এর ২য় ছবি এবং এ ছবি তাকে A লিস্টেড কোরিয়ান পরিচালকদের তালিকায় নিয়ে যায়। সে ২০০০ সালে এ ছবির কাজ শুরু করলেও প্রথম ৬ মাস স্ক্রিপ্ট লেখাও শুরু করেন নি ,শুধু মার্ডার সম্পর্কিত তথ্য কালেক্ট করে গেছেন। এ থেকেই বোঝা যায় এ মুভি তৈরির আগে কতটা রিসার্চ করা হয়েছে।

ছবির প্রধান দুই অভিনেতা ছিল Song Kang-ho আর Kim Sang-kyung। একজন গ্রাম্য ডিটেকটিভ ( মারামারিতে,শামানিজম এ বিশ্বাসী ) আরেকজন শহুরে ডিটেকটিভ ( information,document এসবে বিশ্বাসী ) .পুরো মুভিতে তাদের খুনসুটি আর সময়ের সাথে সাথে চরিত্রের transformation দারুন লেগেছে।বিশেষ করে গ্রাম্য ডিটেকটিভ চরিত্রে Song Kang-ho এর অভিনয় ছিল একেবারে চোখ ধাধানো। এ দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য সে ওই বছর Grand Bell Award , Chunsa Film Awards , Korean Film Awards সহ প্রায় প্রতিটি Award ceremony এ Best Actor এর Award জিতে নেয়।
Memories of  Murder  (2003)

এ ছবি মুক্তির পরে critical and commercial , দুই দিক থেকেই প্রচুর acclaim পায়। ২০০৩ সালের দক্ষিন কোরিয়ার সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি ছিল এটি। আর সে বছর কোরিয়ার প্রায় সব award এর সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নেয় এ ছবি। বর্তমানে IMDB এর টপ ২৫০ এর list এ এই মুভি রয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম সেরা ছবি হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে।