'
প্রথম কথা হচ্ছে বিশেষ করে থ্রিলার মুভিগুলোর ক্ষেত্রে ভাষা যদি না বুঝা যায় তাহলে সিনেমা টাতে কি ঘটছে তা বুঝা মারাত্বকভাবে অসম্ভব । এদিকে এ আর মুরুগদসের অধিকাংশ মুভিই ভাষা না বুঝার কারনে পুরোপুরি ইনজয় করাও মারাত্বকভাবে অসম্ভব । তবে তার ছবিগুলো যে একেক টা মাস্টারপিস তা বলার অপেক্ষা রাখে না !
'
এ আর মুরুগদসের এ বছরের অন্যতম বড় ধামাকা স্পাইডার । ছবিটি দেখার পর সত্যি বলতে মূল গল্পটা মোটামুটি মাথায় ঢুকছে আর কি ! তাছাড়া গোটা মুভিটার কিচ্ছু বুঝি নাই !! তবে সম্পুর্ন মুভিটা দেখার পর এটাই বলব যে এই মুভির হিন্দী ডাবড অথবা বাংলা সাব এর জন্য আমি চরমভাবে অপেক্ষায় ।
'
এই মুভিটা নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই আমি বলব এই মুভির অ্যাকশন সিকোয়েন্স । মুভিতে কিন্তু কোন আট দশটা তেলেগু ছবির মত কোপা শামসু টাইপের অ্যাকশন দৃশ্য নাই । তবে এই মুভিতে যে ধরনের অ্যাকশন দৃশ্য দেখানো হয়েছে তা আমার মতে ইন্ডিয়ান সিনেমার অন্যতম সেরা অ্যাকশন দৃশ্য । পুরাই রক্ত ঠান্ডা করে দেওয়ার মত সিকোয়েন্স ।
'
অভিনয়শিল্পীদের পারফরমেন্স বলতে গেলে দুইজনের নামই বলতে হবে কারন এই দুইজনকে নিয়েই পুরো সিনেমাটা । একদিকে সুপারস্টার মাহেশ বাবু তার অন্যান্য ছবিগুলোতে যেভাবে হাজির হয় এই ছবিতেও সেভাবেই তাকে পাওয়া গেছে । আর এ ধরনের চরিত্রে মাহেশ বাবুর চাইতে বেটার না খোজাই ভাল । অন্যদিকে ছবির ভিলেন এস জে সুরিয়ার পারফরমেন্স খুবি প্রশংসনীয় এবং খুব ইনজয়বল ।
'
স্পাইডারের মিউজিক পরিচালনায় ছিলেন হারিস জয়রাজ এবং এ ছবিতে তার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক পুরাই বাও রে বাও !! এক কথায় ছবির বিজিএম সুপার্ব !!
'
এ ছবির দুর্দান্ত ক্লাইম্যাক্স ছবিটাকে অন্য এক লেভেলে নিয়ে গেছে । ক্লাইম্যাক্স সম্পর্কে শুধু একটাই কথা বলব আর তা হচ্ছে পুরাই বেস্ট ! ও আরেকটা কথা ছবির ক্লাইম্যাক্সে মাহেশ বাবু ভিলেন সুরিয়াকে একটা পাঞ্চ মারে সেই দৃশ্যটা রোমান রেইন্সের সুপারম্যান পাঞ্চের চাইতেও মর্মান্তিক ।
'
অবশেষে আবারো বলছি স্পাইডারের হিন্দী ডাবড অথবা বাংলা সাব এর জন্য চরমভাবে অপেক্ষায় আমি ।
'