অজয়, ইমারান হাসমী, কঙ্গনা রানৌত, প্রাচী দেশাই ও রান্দীপ হুডা অভিনীত 28 কোটি বাজেটের এই মুভিটির ততকালীন বক্স অফিস কালেকশন ছিলো ৯৪ কোটি বা তার বেশী।
মুম্বাই আর সুলতান মির্জা। মুম্বাইর সাথে ছোট বেলা থেকেই শুরু সুলতান মির্জার সখ্যতা।
মুম্বাই তার ভালোবাসা, প্রেমীকা। যতো গায়ের কানুনী ধান্ধাই করুক না কেনো কখনো ভালোবাসার শহরকে গান্ধা হতে দেয় নি সুলতান।মুম্বাইর অলি গলি কে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব ছিলো তার।
প্রশাসনিক বিরোধী কাজ- কর্ম করলেও সমাজ বিরোধী কাজ করতো না কখনো, তাই তো ধীরে ধীরে মুম্বাইর অসহায় মানুষগুলোয় দেবতায় পরিণীত হয় সুলতান।
মুম্বাই ছাড়াও সুলতানের আরেকটি দুর্বলতা ছিলো। তা হলো ফিল্ম স্টার রেহানা।
অতঃপর এক দিন একে অপরের সাথে শুটিং স্পটে দেখা ও ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরী হওয়া।
মুম্বাই এর আরেক লাগামহীন চতুর বালক শোয়েব।
বাবা পুলিশ হলেও ছেলে ছোট বেলা থেকে এক দুর্দর্শ চোর। শোয়েবের সপ্ন মুম্বাই শহর একদিন তার হাতের মুঠে করে নেয়া, চাই তা মুম্বাইকে সহিংস বা মানুষের লাশ বিছিয়ে হোক না কেনো, অরাজকতার রাজ প্রতিস্থাপনই তার মূল উদ্দেশ্য। এই সপ্ন নিয়ে একদিন শোয়েবের দেখা সুলতানের সাথে। অতঃপর একে অপরের আস্থা অর্জন ও বন্ধুত্ব। শোয়েব চোর হলেও মুমতাজকে ভালোবাসে মনে প্রাণে।মুমতাজও ভালোবাসে সব কিছু দিয়ে।
এই মুভিতে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করে রান্দীপ হুডা।
রান্দীপ হুডার অভিনয় আমার কাছে সবসময় স্পেশাল, এখানেও আমার জন্য তেমনটাই ছিলো।
প্রাচী দেশাই এর অভিনয়ও আপনার ভালো লাগতে পারে।
সবচেয়ে সুন্দর ছিলো মুভির প্রত্যেকটা কথাই যেন একেকটা ডাইলগ।
আপমনি আমার মতো রাহাত ফাতেহ আলী খানের গান পছন্দ করে থাকলে আপনার জন্য আছে মুভিতে একটি বেশ সুন্দর গান।
চাইলে আপনিও দেখতে পারেন।