Know info before watch, but no Spoiler

Ohm Santhi Osana (2014) মুভি রিভিউ


একটা সিম্পল কাহিনীকে এত্তো কিউট এবং মনোমুগ্ধকর করে উপস্থাপণ করা যায় সেটা এই মুভিটা না দেখলে জানতামই না, সহজ একটা কাহিনীকে এতোটা আকর্ষনীয় করে তুলেছে বলার বাইরে, ম্যাকিং স্টাইল, অভিনয় চমৎকার করে তুলে ধরেছে। নায়িকা নাজরিয়া নাজীম কিউটের ডিব্বা যেনো, স্কুল গার্লের যে এক্টিংটা করেছে, একদম মানিয়ে নিয়েছে নিজেকে।
পুরো মুভিতে ওর উপস্থিতি ছিলো চমৎকার, ভালোলাগতে বাধ্য...
একেক জনরার মুভি দেখার সময়ে আমাদের একেকটা অনুভূতি আসে, এ্যাকশন দেখলে চাপা একটা উত্তেজনা কাজ করে, হররর দেখলে ভীতি কাজ করে, কমেডি দেখলে ভিতরটা নরমাল হয়ে হাসি বেরিয়ে আসে, আর সাইন্স ফিকশনে মস্তিষ্কে একটা উৎসুকভাব কাজ করে, আর Triangle / inception  এর মতো মুভিগুলা নার্ভে প্রচুর চাপ ফেলে, মস্তিষ্ক অনেকটা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যায় মুভিটা।
আর কিছু মুভি দেখলে মজা লাগে, ভিতরটায় আলাদা একটা হিম শীতল ভালোলাগা কাজ করে, অট্টহাসি নয় মুচকি হাসতে মনে চায়, খুবই খুবই ভালোলাগে।
তেমনই একটা মুভি Ohm Santhi Osana* মুভিটা। অনেকদিন কাজ করবে ভালোলাগাটা।
বোরিং লাগার কোনো প্রশ্নই আসেনা দারুন উপভোগ্য।
যেই দেখবে তার প্রিয় মুভির লিস্টে এটা অটোমেটিক এড হয়ে যাবে। প্রেমে ফেলে দিবে মুভিটার।

বর্তমান ইন্ডিয়ায় একমাত্র মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রীতেই মৌলিকতা দেখতে পাই, সবচেয়ে এগিয়ে তারা।
সে ইন্ডাস্ট্রীরই একটা সফল এবং সবার প্রিয় একটা মুভি। রোম্যান্টিক ঘরনার এই মুভিটি আসলেই অনেক মুগ্ধ করেছিলো।
অনেকদিন আগেই দেখেছিলাম, আজ দু'কলম লিখলাম।
যারা দেখেননি আপনারাও দেখতে পারেন।

Happy Watching

MAD MAX Fury Road (2015) মুভি রিভিউ


                                     


যে ছবিটি নিয়ে আজ বলবো তা অবশ্য ২০১৫ তে রিলিজ হয়েছে।তখন ই একবার দেখেছি।কিন্তু কয়দিন হলো আবারো মনে হচ্ছিল সিন গুলির কথা।চট করে ডাউনলোড করে দেখতে বসলাম।এর আগে সাউন্ড বক্স ইউজ করিনি কিন্তু এবার সাউন্ড বক্স লাগিয়ে ছবিটা দেখছিলাম!
কারণ মুভির সাউন্ডটা অসাধারণ।

মুভিটা অবশ্যই অবশ্যই দেখবেন তারা যারা অল্পতেই দিশেহারা হয়ে যান, আর এসির বাতাস খেয়ে মনে করেন আহ কত কষ্ট করলাম জীবনে।
মুভিটিতে অসাধারণ দৃশ্যগুলি এত সুন্দর করে পরিচালক ধারণ করেছেন শক্ত একটা স্ক্রিপ্ট দিয়ে তা বলার বাকি রাখেনা।


শুরু হয় একজন পুরুষের মাধ্যমে যে হলো হিরো মুভির, সে প্রায় সময় ই তার মৃত মেয়েকে সহ আরো কিছু মুখ দেখতে পায়।
সে এমন ও সময় দেখে যে সময় প্রতিপক্ষ তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়।
যাইহোক পাশাপাশি মুভিতে দেখতে পাবেন একজন শক্তিশালী নারী, যে অসাধারণভাবে মুভিতে নিজের অভিনয়কে বিকশিত করেছেন।
অবাককর বিষয় এই যে তার বাম হাতের অর্ধেক ই কাটা।কিন্তু তবুও সে ই একমাত্র নারী যে পুরো মুভিতে হিরো এর চেয়েও শক্ত অভিনয় দেখিয়েছে।

মজার বিষয় এখানে হিরো বা হিরোইন ২জনের মাঝে  কোন সম্পর্ক ই হয়নি।
তবুও তারা হিরো, হিরোইন এখানে।

আর ভিলেইন এর কথা যদি বলি তবে আসলে মুভির গল্প বলা হয়ে যাবে।
শুধু এইটুক বলি যে ভিলেইন হইলো একজন স্বৈর শাসক যে নিজে সহ পারিবারিক ভাবে বিলাসী থেকে নিজ প্রজাদের অভুক্ত রাখে।


তবে এখানে সবচাইতে মজার বিষয় হলো শুরু হয় যুদ্ধটা, নিজেদের জান বাচানো নিয়ে।
কিন্তু শেষটা হয় রিভোল্যুশন  চিন্তা দিয়ে মানে পুরো রাজ্যকেই দখলের ভাবনা দিয়ে।
কেমন হতে পারে সেই সাহসিকতা?
পারবে একজন মেয়ে আধা হাত দিয়ে রাজ্যকে দখল করতে?

Btw খুব মজার একটা সিন আছে যদি আপনি গিটারিস্ট ও ড্রামার  হন খুব অবাক হবেন এখানে গিটারিস্ট ও ড্রামারদের কে যুদ্ধ এর মাঝে কিভাবে উপস্থাপন করা হয়।

Judwwa 2 (2017) মুভি রিভিউ



বলিউডে ইয়াংস্টারদের ভিতরে হাতেগোনা যে কয়জনকে লম্বারেসের ঘোড়া ধরা হয় তার মধ্যে নিসন্দেহে বরুন অন্যতম। তার সাথে যারা ইন্ডাস্ট্রিতে আসছে তাদের অনেকেই লাগাতার ফ্লপ দিয়ে ফুরিয়ে যাওয়ার পথে কিন্তু এই ছেলেটা একের পর এক বক্স অফিস হিট দিয়ে স্বমহিমায় উজ্জ্বল।  স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার এ তার সাথে ডেবুট হইছিলো "সিদ্ধার্থ মালোহত্রার" বাট তার ক্যারিয়ারে এরপরে "এক ভিলেন" আর "কাপুর এন্ড সন'স" বাদে বলার মত ঊল্লেখযোগ্য কিছু নাই বাট বরুনের হিট গুলা দেখেন বাদলাপুর,মে তেরা হিরো,হামটি শার্মাদুলহানিয়া,দিলওয়ালে,ডিসুম,বাদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া এখন পর্যন্ত বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে এখন পর্যন্ত।

যাইহোক,নতুন মুক্তি পাওয়া "জুড়ওয়া ২" প্রথম দিনেই ১৬ কোটি বিজনেস করে ফেলেছে বক্স অফিসে। এইটা সালমান খানের জুড়ওয়ার অনেকখানি রিমেক বলা যায় কারণ সেই ছবিটার ১২-১৩ টা সিন এইখানেও ইউজ করা হইছে।  ছবিতে বরুন ধাওয়ান এর কমিক টাইমিং পারফেক্ট ছিলো। শাহরুখ খানের ডায়লগ নকলের সীনটাও ভালো লাগবে সবাইর।  কিন্তু তাপসী পান্নু এই টাইপ ছবির সাথে যায়না আসলে ওর জায়গায় ইলিয়ানা/ক্রিতি শ্যাননকে নিলে আরো ভালো হইত। জ্যাকলিন বরাবরের মত গ্ল্যামার এ ভরপুর ছিলো। এইবারও সে প্রমাণ করেছে কিসিং সিনে জ্যাকলিন অদ্বিতীয়।বাকিদের কাজও ভালো ছিলো।মিউজিক ভাল্লাগছে। গানগুলার রিক্রিয়েট ভালো হইছে।আগের গুলার চেয়ে এবারের গুলা ভালো লাগছে বেশী।

বিদ্যা বালান বলেছিলো ফ্লিম খালি তিনটা জিনিসের উপরে চলে এন্টারটেইনমেন্ট,এন্টারটেইনমেন্ট আর এন্টারটেইনমেন্ট আর "জুড়ওয়া ২" এন্টারটেইনমেন্ট এ ভরপুর।

কিন্তু জাস্ট বিনোদনের জন্য দেখবেন লজিক খুজতে গেলে ছবির মজা নস্ট হবে। তাই হাতে ফ্রি টাইম থাকলে নিসন্দেহে দেখে নিন আপনার টাইমটা ভালো কাটবে গ্যারান্টি।

হ্যাপি ওয়াচিং।