Know info before watch, but no Spoiler

knowing (2009) Movie Review || মুভি রিভিউ



রুদ্ধশ্বাস আর চাপা উত্তেজনায় ভরা এক সাইন্স ফিকশন থ্রিলার মুভি।
      সাল ১৯৫৮! নতুন একটি প্রাইমারী  স্কুল উদ্বোধন করার সময় সেখানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।আর নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের  "আগামী ৫০ বছর পর পৃথিবী দেখতে কেমন হবে" তার উপর ভিত্তি করে কিছু চিত্র আঁকতে বলা হয়।কারণ আঁকা ছবিগুলো তারা একটি "টাইম ক্যাপসুলে" যত্ন করে রেখে দিবে।আর স্কুলের যেদিন ৫০ বছর পূর্তি হবে সেদিন খোলা হবে এই "টাইম ক্যাপসুল"।ছাত্ররা কেউ রোবটের ছবি,কেউ রকেটের ছবি এঁকে টাইম ক্যাপসুলে ঢুকাল।কিন্তু তাদের মধ্যে এক ছাত্রী ছিল বড় অদ্ভুদ স্বভাবের।সে কোন ছবি না এঁকে বরং সারা পাতা জুড়ে শুধু কিছু সংখ্যা লিখে রাখল।আর সংখ্যা গুলো ছিল একেবারে আগোছালো।
.
৫০ বছর পরে,স্কুলের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে খোলা হলো সেই"টাইম ক্যাপসুলটি"।আর তার ভিতর থাকা সমস্ত হাতে আঁকা ছবি গুলো বতর্মান সময়কার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।ঘটনা কমে সেই অদ্ভুদ সংখ্যার কাগজটি মুভির নায়ক "নিকোলাস কেজ" এর ছেলের ভাগে পড়ে।আর সেই সূত্রে ধরে কাগজটি এক সময় "নিকোলাস কেস" এর হাতে আসে।"নিকোলাস কেজ" ছিলেন একজন দক্ষ গণিত মাস্টার।এমন আগোছালো সংখ্যা গুলো দেখে তার কাছে ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুদ লাগে।প্রথমে দিকে বিষয়টা তেমন গুরুতে না দিলেও পরে অনেকটা কৌতুহলের বসে কাগজে লিখা সংখ্যাগুলো নিয়ে রীতিমত সে গবেষণা শুরু করে। আর গবেষণা করতে গিয়ে এক ভয়ংকর রহস্য আবিষ্কার করে সে।আসলে এই আগোছালো সংখ্যাগুলো গত ৫০ বছরে পৃথিবীতে যতগুলো বড়ধরণের প্রাণহানিকর ঘটনা ঘটেছে- তারই তারিখ ও নিহতের পরিমাণ।"নিকোলাস কেজ" তখন সংখ্যা গুলো নিয়ে আর ব্যাপক গবেষণা শুরু করলেন আর বের করলেন এর ভিতর আরো বড় ধরণের তিনটি ঘটনার কথা উল্লেখ্য আছে।আর শেষটা তে আছে পৃথিবী ধ্বংসের ইঙ্গিত।তাহলে "নিকোলাস কেজ" এখন কি করবে?কিভাবে এই বিপদের হাত থেকে মানব জাতীর অস্তিত্ব রক্ষা করবেন।নাকি শুধুই অপেক্ষায় থাকবে অন্তিম সেই দিনের জন্য?এসোব জানতে হলে অবশ্যই মুভিটি দেখতে হবে।
-------++++--------