Know info before watch, but no Spoiler

Hereditary (2018) মুভি রিভিউ।। Movie Review


সতর্কীকরন: দূর্বল চিত্তের মানুষদের জন্য নয়!
.
অনেকের মতে Hereditary এই বছরের অন্যতম scariest মুভি! প্রমিনেন্ট রিভিউয়ার ও হরর মুভি লাভারদের মাঝে তাই অন্যরকম একটা অপেক্ষা কাজ করছিল। অপেক্ষায় ছিলাম আমিও। প্রথম সুযোগ পাওয়ামাত্রই তাই দেখে এলাম। রাত দেড়টার দিকে মিডনাইট শো  দেখে যখন মুভি থিয়েটার থেকে বেরোলাম, বন্ধ হয়ে যাওয়া ফাঁকা শপিং মলের ভেতরটা হঠাতই অনেক বেশী ভূতুরে মনে হতে লাগলো। একের পর এক সাজিয়ে রাখা ম্যানিকুইনগুলো জীবন্ত মনে হচ্ছিল! ফাঁকা রাস্তা ধরে একা হেঁটে বাসায় ফিরছিলাম, সত্যি বলতে বারবার শরীরে কাঁটা দিচ্ছিলো! পায়ের নীচে শুকনো পাতার শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল কেউ অনুসরন করছে, পেছনে ফিরে তাকাতে ইচ্ছে হচ্ছিল বারবার! প্রচন্ড ডিস্টার্বিং মুহূর্তগুলো বারবার মনের পর্দায় ভেসে উঠছিল।
.
শেষ কবে কোন হরর মুভি দেখে এরকম অনুভব করেছি, আমার মনে পড়েনা! হরর জনরার পাঁড় ভক্ত আমি! তবে এই ক্ষেত্রে বাছবিচারের স্বভাবটাও খুব প্রকট। থ্রিলার বা সাইফাই যেমন তেমন হলেও গিলতে পারি কিন্তু লেইম হরর মুভি ঠিক সহ্য করতে পারিনা। কারণটা খুব সোজাসাপটা, হরর মুভি দেখে আমি সাধারণত এফেক্টেড হইনা। জাম্প স্কেয়ার, পরিচিত গল্প আর পুওর মেকিং আমাকে খুব বেশীই বিরক্ত করে। মিস্ট্রি বেজড, স্ট্রং স্টোরিলাইন না হলে আমার মতে হরর মুভি জমেনা।
.
এই সব ক্যাটেগরিতেই খুব ভালোভাবে উৎরে গেছে Hereditary! ইন্টারেস্টিং একটা স্টোরির পাশাপাশি প্রতিটি ক্যারেক্টার বিল্ড আপ এবং  এক্সিকিউশন মুগ্ধ করেছে। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলের পাশাপাশি মিউজিকের ব্যবহার ছিল লক্ষ্য করার মতো! সেই সাথে ডিরেক্টর কৃতিত্বের সাথে ব্যবহার করেছেন সাইলেন্সকে যা একটা হরর মুভির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা এলিমেন্ট! স্টোরিলাইন পুরোপুরি আনফিমিলিয়ার বা ইউনিক দাবী করবোনা, বরং Ouija টাইপ মুভিতে এই ধরণের স্টোরির কিছু ছোঁয়া পাওয়া যাবে। কিন্তু Hereditary এর মাঝে কিছু ইউনিক টুইস্ট আছে, মুভির পেসিং, ক্যারেক্টারাইজেশন এবং দুর্দান্ত এক্সিকিউশনের মাধ্যমে ডিরেক্টর একটা ভয়াবহ আবহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।
.
গল্পটার শুরুটা বেশ টিপিক্যাল, একটা ফ্যামিলিকে নিয়ে।  এটা প্রথম দেখায় শুধু প্লেইন এন্ড সিম্পল অ্যামটিভিল হরর ক্যাটাগরির মুভি মনে হতে পারে। কিন্তু ঘটনার বিল্ড আপ এতো সারপ্রাইজিংলি টার্ন নেয় যে শেষদিকে স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম, অনুভব করতে পারছিলাম নিজের হৃদস্পন্দন! একজন গ্রিভিং মাদার, তার মৃত অদ্ভুত রহস্যময়ী মা, অদ্ভুতুড়ে কন্যা, পুত্রের সাথে কমপ্লিকীড সম্পর্ক, ভুডু/ব্ল্যাক ম্যাজিক সব কিছুই আছে এই মুভিতে। বাচ্চা মেয়েটার কথা কি বলবো, এতো সাটল কোন ক্যারেক্টার যে এতো ভয়াবহ আর পাওয়ারফুল হয়ে উঠতে পারে তা ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলাম না! Charlie আমার দেখা অন্যতম ক্রিপিয়েস্ট হরর মুভি ক্যারেক্টার। আমি কোন কিছু স্পয়েল করতে চাইনা, যারাই দেখতে আগ্রহী কাইন্ডলি স্পয়লার থেকে দূরে থাকবেন, ভালো হয় ট্রেলারও না দেখলে। 
.
সব মিলিয়ে দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই, Hereditary এই সময়ের অন্যতম সেরা হরর মুভি। তবে এন্ডিংটা আমার কাছে একটু underwelming লেগেছে টু বি অনেস্ট। এর কারণ হয়ত মুভিটার লং বিল্ড আপ, এজ এ ভিউয়ার আমি হয়ত খুব বেশী প্যে অফ আশা করছিলাম। একদিক দিয়ে এটাও ক্রেডিটের দাবীদার কারণ টিপিক্যাল হরর ক্লিশে থেকে বেরিয়ে আসাটা ফ্রেশ একটা এক্সপ্রিয়েন্স আর টেস্ট রেখে গেছে ভিউয়ারদের মনে! দাগ কেটেছে এর সাইকটিক অ্যাসপেক্ট, ক্যারেক্টারের মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন। অনেক দিন মনে থাকবে মুভিটা!
.
বিঃদ্রঃ ওয়াইড শটগুলোর পাশাপাশি ক্লোজআপগুলোতেও শুধু সাবজেক্টের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। ফোকাসড এন্ড আউট অফ ফোকাসড ব্যাকগ্রাউণ্ড ব্যাবহার করে বেশ ভালো কিছু শক দিয়েছে ডিরেক্টর। আর ভালো সাউন্ড-সিস্টেম এই মুভি থেকে বেস্ট এক্সপেরিয়েন্স পাওয়ার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

Rampage (2018) Movie Review



শুধুমাত্র বিনোদন উপভোগ করাটাই যদি মুখ্য হয় , তাহলে বিশ্বখ্যাত অভিনেতা রকের "র‍্যাম্পেজ" সিনেমা দেখে সময় টা বেশ ভালো ভাবেই যাবে !

আগেই বলা রাখি , এই সিনেমাকে "ব্রেইনলেস ব্লকবাস্টার" উপাধি দেওয়াটাই শ্রেয় ! সিনেমার গল্প যেমন বিশ্বাস্যযোগ্য নাহ, আরো বেশ কিছু দিক অতিরঞ্জিত লেগেছে ! তবে, সিনেমার মূল জনরা এডভেঞ্চার হওয়ায় অনেকের কাছে লজিক্যাল গল্পের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়টি মাথায় আসবে নাহ ! সিনেমার ভিজুয়ালাইজেশন দারুণ হওয়াটাই হয়তো এক্ষেত্রে মূল ব্যাপার !

প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ ডেভিস ওকোয়া জর্জ নামক এক গরিলাকে লালন পালন করে । গভীর বন্ধুত্ব তাদের মাঝে । সাংকেতিক ভাষায় তাদের ভাবের আদান প্রদান ও হয়ে থাকে । ঘটনাক্রমে এক বিশেষ সিরামের প্রভাবে গরিলার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয় । খুব দ্রত তার আকার বড় হতে থাকে ! হিংস্রতা চলে আসে !

পরিস্থিতি আরো খারাপ হয় যখন জানা যায় একটি নেকড়ে এবং কুমীরের মধ্যেও একই রকম পরিবর্তন হচ্ছে ! একসময় জানা যায়, একদল বিজ্ঞানী প্রজেক্ট র‍্যাম্পেজ নামে একটি গবেষণা চালায় মহাকাশে ! তারই ফল এই রকম অদ্ভুতুড়ে ঘটনাগুলো !
একের পর এক শহর, স্থাপনা ধ্বংস করতে থাকা সেই তিন প্রাণী ! কিন্তু কোনো কিছুতেই আটকানো যায়না তাদেরকে । শুরু হয় তাদের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষার লড়াই !
ডেভিস এবং তার দল কি পারবে এই প্রাণীগুলোকে দমাতে?!

Imdb : 6.4/10
ডাউনলোড লিংকঃ                                   DOWNLOAD HARE

Ready Player One Movie (2018) Movie Review



সাল ২০৪৫ । নিঃসঙ্গ কিশোর ওয়েড জনসংখ্যা ভারাক্রান্ত এক শহরে বসবাস করে । তার বাবা মা দুজনই মারা গেছে । সেই শহরের সকল লোকদের বিনোদন এবং সময় কাটানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে ওয়েসিস নামের এক ভার্চুয়াল জগত ! এই জগতে মানুষ আসে কিছু করতে, কিন্তু তারা রয়ে যায় এখানে ; কারণ তারা এখানে পারে যেকোনো কিছু হতে !

এটি এমন এক পৃথিবী যেখানে নিজের ইচ্ছেমতো সকল কিছুই করা যায় ! কল্পনার কোনো সীমা নেই এখানে ! ওয়েসিসের স্থপতি জেমস হ্যালিডে এক প্রতিযোগিতার ঘোষনা দিয়ে যান মারা যাবার আগে । তিনি ওয়েসিসে লুকিয়ে রেখেছেন তিনটি চাবি ! যে ব্যক্তি চাবি তিনটি খুঁজে বের করতে পারবে সে পুরো ওয়েসিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে ! আরো পাবে বিশাল অংকের পুরস্কার !

ওয়েড প্রতিযোগিতা জয় লাভ করার জন্য মরিয়া ! তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে সাথে যুক্ত হয় সামান্থা নামের এক কিশোরী এবং আরো কিছু গেইমার !

একই নামের উপন্যাস থেকে সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে । সিনেমায় ক্যামেরার পিছনে ছিলেন স্টিভেন স্পিলবার্গ । তাকে নিয়ে নতুন করে বলার দরকার নেই, আশা করি । অভিনয়ে ছিলেন টাই শেরিডান, ওলিভিয়া কোকে, সিমন পেগ এবং আরো কিছু তারকা । সকলের অভিনয় ভালো লাগলেও মূল চরিত্রে অভিনয়কারী শেরিডান থেকে শক্তিশালী অভিনয় প্রত্যাশা করছিলাম !

সব মিলিয়ে, বিনোদনের এক ফুল প্যাকেজ এটি । মাস্ট ওয়াচ ফিল্ম !

ফিল্ম : Ready Player One Movie (2018)
IMDb : 7.7/10
ডাউনলোড লিংক............           DOWNLOAD

knowing (2009) Movie Review || মুভি রিভিউ



রুদ্ধশ্বাস আর চাপা উত্তেজনায় ভরা এক সাইন্স ফিকশন থ্রিলার মুভি।
      সাল ১৯৫৮! নতুন একটি প্রাইমারী  স্কুল উদ্বোধন করার সময় সেখানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।আর নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের  "আগামী ৫০ বছর পর পৃথিবী দেখতে কেমন হবে" তার উপর ভিত্তি করে কিছু চিত্র আঁকতে বলা হয়।কারণ আঁকা ছবিগুলো তারা একটি "টাইম ক্যাপসুলে" যত্ন করে রেখে দিবে।আর স্কুলের যেদিন ৫০ বছর পূর্তি হবে সেদিন খোলা হবে এই "টাইম ক্যাপসুল"।ছাত্ররা কেউ রোবটের ছবি,কেউ রকেটের ছবি এঁকে টাইম ক্যাপসুলে ঢুকাল।কিন্তু তাদের মধ্যে এক ছাত্রী ছিল বড় অদ্ভুদ স্বভাবের।সে কোন ছবি না এঁকে বরং সারা পাতা জুড়ে শুধু কিছু সংখ্যা লিখে রাখল।আর সংখ্যা গুলো ছিল একেবারে আগোছালো।
.
৫০ বছর পরে,স্কুলের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে খোলা হলো সেই"টাইম ক্যাপসুলটি"।আর তার ভিতর থাকা সমস্ত হাতে আঁকা ছবি গুলো বতর্মান সময়কার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।ঘটনা কমে সেই অদ্ভুদ সংখ্যার কাগজটি মুভির নায়ক "নিকোলাস কেজ" এর ছেলের ভাগে পড়ে।আর সেই সূত্রে ধরে কাগজটি এক সময় "নিকোলাস কেস" এর হাতে আসে।"নিকোলাস কেজ" ছিলেন একজন দক্ষ গণিত মাস্টার।এমন আগোছালো সংখ্যা গুলো দেখে তার কাছে ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুদ লাগে।প্রথমে দিকে বিষয়টা তেমন গুরুতে না দিলেও পরে অনেকটা কৌতুহলের বসে কাগজে লিখা সংখ্যাগুলো নিয়ে রীতিমত সে গবেষণা শুরু করে। আর গবেষণা করতে গিয়ে এক ভয়ংকর রহস্য আবিষ্কার করে সে।আসলে এই আগোছালো সংখ্যাগুলো গত ৫০ বছরে পৃথিবীতে যতগুলো বড়ধরণের প্রাণহানিকর ঘটনা ঘটেছে- তারই তারিখ ও নিহতের পরিমাণ।"নিকোলাস কেজ" তখন সংখ্যা গুলো নিয়ে আর ব্যাপক গবেষণা শুরু করলেন আর বের করলেন এর ভিতর আরো বড় ধরণের তিনটি ঘটনার কথা উল্লেখ্য আছে।আর শেষটা তে আছে পৃথিবী ধ্বংসের ইঙ্গিত।তাহলে "নিকোলাস কেজ" এখন কি করবে?কিভাবে এই বিপদের হাত থেকে মানব জাতীর অস্তিত্ব রক্ষা করবেন।নাকি শুধুই অপেক্ষায় থাকবে অন্তিম সেই দিনের জন্য?এসোব জানতে হলে অবশ্যই মুভিটি দেখতে হবে।
-------++++--------