প্লট বা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক না,আমাকে যেই জিনিসটা একদম থ করে দিয়েছে সেটা হলো,ফিল্মের মেইন এবং একমাত্র অভিনেতা একটা ২ বছরের বাচ্চা মেয়ে।হ্যা অন্য একজন মহিলা যে বাচ্চা মেয়ে পিহুর মায়ের ভূমিকায় ছিলেন,তিনিও স্ক্রিনে একটু পরে পরে এসেছিলেন কিন্তু তিনি ছিলেন মৃতা একজন।পুরা ৯০ মিনিটের ফিল্মে একটা ২ বছরের বাচ্চা মেয়ে,তার চলন–বলন,তার আধো আধো কথা!পরিচালককে একটা স্যালুট দিতেই হয় যে ২ বছরের বাচ্চাকে দিয়ে এমন অভিনয় করাতে পেরেছেন।অভিনয় তো করিয়েছেন আবার ডাবিং ও করিয়েছেন এই বাচ্চা মেয়েটাকে দিয়ে।হ্যাটস অফ!
পিহুর ২য় জন্মদিন হলো।পরদিন তার বাবার কোলকাতা যেতে হবে একটা জরুরী মিটিং এর জন্যে।জন্মদিনের পার্টির শেষে পিহুর মায়ের সাথে তার বাবার ভীষণ ঝগড়া হয়।পিহুর মা সন্দেহ করে পিহুর বাবার সাথে তারই বান্ধুবি এবং পিহুর বাবার কলিগের অনৈতিক সম্পর্ক আছে।এই নিয়ে তুমুল ঝগড়া।পিহুর বাবা সকালে ইস্ত্রি অন রেখেই রাগারাগি করে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে চলে যায়।এবং পিহুর মা আয়নায় লিপস্টিক দিয়ে সুইসাইড নোট লিখে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করে।পিহু ঘুম থেকে উঠে মাকে জাগানোর অনেক চেষ্টা করে,কিন্তু মা আর জাগে না।ঐদিকে বাবাও বাসায় নেই।তারপর সেই একাকী পিহু ঘটাতে থাকে নানা ঘটনা।
এই ফিল্মে একটা জিনিস বুঝা গেলো যে আমরা শহুরে মানুষ কি পরিমাণ যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি।প্রতিবেশীরা আরেকজন প্রতিবেশীর গালমন্দ করেই সময় পায় না,খবর রাখবে কিভাবে?আমাদের অবশ্যই আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
স্যার বলেন,বয়স্কদের থেকে বাচ্চারা বেশি ভালো অভিনেতা।শুধু ভালো না,বাচ্চারা ভয়ঙ্কর ভালো অভিনেতা।তাদের এত কিছু বুঝানোর দরকার নেই যে এই শট,এই ডায়লগ হেনো–তেনো।তাদেরকে বলো,অভিনয় একটা খেলা।তারা একদম খেলে দিবে।
পর্দায় এই বাচ্চা পিহুকে দেখে সেটাই বুঝলাম।সে অভিনয় করছিল না,সে খেলছিল।
অসাধারণ ।