দ্য ডার্টি পিকচার!
বায়োগ্রাফিকাল মিউজিকাল ড্রামা মুভি।
এক সময়কার দক্ষিণা নায়িকা সিল্ক স্মিথের জীবনে ঘটে যাওয়া উত্থান-পতন নিয়ে তৈরি, যে ছিল তার ইরোটিক রোলের জন্য বিখ্যাত, পরিচিত ও আলোচিত-সমালোচিত।
সেই ২০১১ সালে মুভিটি রিলিজের পর, দেখেছি বেশ ক'বার কিন্তু তখন তো আর এত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারতাম না, বুঝতামনা, মন ছিল আবেগী!
বার্তা নিরিক্ষার ক্ষমতা ছিলনা!
এডাল্ট মুভি হলেই লুকোচুরি করে দেখাটাই ছিল একটা নেশার মতো, এটা শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, বয়স ভেদে প্রায় সবারই এমন হয়।
যাকগে থাক সেসব, বিদ্যা বালানের একটু গুণগান না গাইলে কী হয়?
বিদ্যা বালান ন্যাশনাল এওয়ার্ড ও বেশকিছু এওয়ার্ড পেয়েছিল তখন এ ফিল্মের জন্যেই।
কারণ এরকম সাহসী অভিনয়, ও দক্ষ অভিনেত্রী হওয়া আজকালকার অনেকেরই মধ্যেউ নেই এক্সেপ্ট কঙ্গনা।
সংক্ষেপ রিভিউঃ একদা বিয়ের রাতে বাসা থেকে পালিয়ে যায় রেশমা (বিদ্যা) চেন্নাইয়ের উদ্দেশে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন ধারণ করে।
বহুদিন অপেক্ষা করেও অডিশনের লাইনে দাঁড়িয়েও হতাশ হয়ে ফেরে, শুধু হতাশাই না রীতিমতো অপমান করে পাঁচ রুপিয়া দেয়।
দোকানি কে খাবারের অর্ডার করে, সিনেমা হলে তার প্রিয় চরিত্র সুরিয়াকান্ত (নাসিরুদ্দিন শাহ) এর সিনেমার পোস্টার দেখতে পেয়ে না খেয়েই হলে চলে যায় সিনেমা হলে।
হঠাৎ এক লোক তার পা ধরে মালিশ করে প্রস্তাব দেয় দশ রুপিয়া দেওয়ার শর্ত তো থাকছেই.......
দৌড়ে বাহিরে গিয়ে ভাবে, আমার মাঝে এমন তো কিছু আছে যেজন্য লোক টাকা দিতে চায়!
উৎসাহ অনুপ্রেরণা পায় নিজের ভিতর, শ্যুটিং স্পটে যায়। গানের শ্যুটিং চলছে, কিন্তু মডেল নেই!
তখনি রেশমা বলে উঠে "কুচবি কারনে কে লিয়ে তৈয়ার সে"।
আবেদনময়ী হয়ে চাবুকের আঘাতে নিজেকে মেলে ধরে ক্যামেরায়!
শ্যুট হয়।
প্রিমিয়ারে যাওয়ার আগেই ডিরেক্টর আব্রাহাম (ইমরান হাশমি) তা কেটে দেয়, এবং বকাঝকা শুরু করে।
মা-মেয়ে (পালিত- মা) হলে যায় অনেক আশা নিয়ে, অপমানিত হয়ে ফিরে, আবারো হতাশা!
ছবিটিও ফ্লপ হয়, তখনি ক্যামেরাম্যান প্রডিউসার কে বলে স্যার একটা গানের দৃশ্য আব্রাহাম স্যার কেটে দিয়েছে, সায়েদ ঐ গান থাকলে ব্লকবাস্টার হতে পারত!
তখনি প্রডিউসার গানটি দেখে, পুনরায় গানটি সহ রিলিজ দেয় এবং ওকে খুঁজতে বলে এজন্য যে সে মিডিয়ায় আঁগ লাগাবে!
অনেক কষ্টে তাকে খুঁজে পায়, নাম দেয় রেশমা হতে সিল্ক। এবং সরাসরি গানের শ্যুটিং এ সেই স্বপ্নের নায়ক সুরিয়াকান্তের সাথে।
কিন্তু সে পারছেনা, বারবার কাট হচ্ছে, মেজাজ বিগড়ে যায় তার, ফ্যাকাপ বলে রুমে যায়।
পেছনেই সিল্ক তাকে সিডিউস করে এবং লংটাইম সেক্সুয়াল রিলেশনশিপ রাখার শর্তে এগেইন শটে নিয়ে আসে।
শুরু হয় সেই উলা-লা, উলা-লা গানটি। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় না সিল্ক কে.......
আমি শুধু উত্থানের আলোচনা করলাম, পতন বাঁকি, ট্রাজেডি, হতাশা, বিমর্ষ রূপ সবকিছু ছবিতেই পাবেন।
রিলিজের সালে ছবিটি আঠারো প্লাস বলা যায়, কিন্তু আজকালকার মুভি অনুসারে কিছুই না।
তারপরও নিজ দায়িত্বে দেখাই শ্রেয়।
পরিচালনা মিলান লুথ্রিয়া।
উলা-লা, উলা-লা গানে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী ও শ্রেয়া ঘোষাল।
আমার কাছে, ইশ্ক সুফিয়ানা গানটি খুব ভাল্লাগে, এখনো শুনি সবসময়।
ধন্যবাদ।