Know info before watch, but no Spoiler

SPYDER (2017) মুভি রিভিউ


'
প্রথম কথা হচ্ছে বিশেষ করে থ্রিলার মুভিগুলোর ক্ষেত্রে ভাষা যদি না বুঝা যায় তাহলে সিনেমা টাতে কি ঘটছে তা বুঝা মারাত্বকভাবে অসম্ভব । এদিকে এ আর মুরুগদসের অধিকাংশ মুভিই ভাষা না বুঝার কারনে পুরোপুরি ইনজয় করাও মারাত্বকভাবে অসম্ভব । তবে তার ছবিগুলো যে একেক টা মাস্টারপিস তা বলার অপেক্ষা রাখে না !
'
এ আর মুরুগদসের এ বছরের অন্যতম বড় ধামাকা স্পাইডার । ছবিটি দেখার পর  সত্যি বলতে মূল গল্পটা মোটামুটি মাথায় ঢুকছে আর কি ! তাছাড়া গোটা মুভিটার কিচ্ছু বুঝি নাই !! তবে সম্পুর্ন মুভিটা দেখার পর এটাই বলব যে এই মুভির হিন্দী ডাবড অথবা বাংলা সাব এর জন্য আমি চরমভাবে অপেক্ষায় ।
'
এই মুভিটা নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই আমি বলব এই মুভির অ্যাকশন সিকোয়েন্স । মুভিতে কিন্তু কোন আট দশটা তেলেগু ছবির মত কোপা শামসু টাইপের অ্যাকশন দৃশ্য নাই । তবে এই মুভিতে যে ধরনের অ্যাকশন দৃশ্য দেখানো হয়েছে তা আমার মতে ইন্ডিয়ান সিনেমার অন্যতম সেরা অ্যাকশন দৃশ্য । পুরাই রক্ত ঠান্ডা করে দেওয়ার মত সিকোয়েন্স ।
'
অভিনয়শিল্পীদের পারফরমেন্স বলতে গেলে দুইজনের নামই বলতে হবে কারন এই দুইজনকে নিয়েই পুরো সিনেমাটা । একদিকে সুপারস্টার মাহেশ বাবু তার অন্যান্য ছবিগুলোতে যেভাবে হাজির হয় এই ছবিতেও সেভাবেই তাকে পাওয়া গেছে । আর এ ধরনের চরিত্রে মাহেশ বাবুর চাইতে বেটার না খোজাই ভাল । অন্যদিকে ছবির ভিলেন এস জে সুরিয়ার পারফরমেন্স খুবি প্রশংসনীয় এবং খুব ইনজয়বল ।
'
স্পাইডারের মিউজিক পরিচালনায় ছিলেন হারিস জয়রাজ এবং এ ছবিতে তার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক পুরাই বাও রে বাও !! এক কথায় ছবির বিজিএম সুপার্ব !!
'
এ ছবির দুর্দান্ত ক্লাইম্যাক্স ছবিটাকে অন্য এক লেভেলে নিয়ে গেছে । ক্লাইম্যাক্স সম্পর্কে শুধু একটাই কথা বলব আর তা হচ্ছে পুরাই বেস্ট ! ও আরেকটা কথা ছবির ক্লাইম্যাক্সে মাহেশ বাবু ভিলেন সুরিয়াকে একটা পাঞ্চ মারে সেই দৃশ্যটা রোমান রেইন্সের সুপারম্যান পাঞ্চের চাইতেও মর্মান্তিক ।
'
অবশেষে আবারো বলছি স্পাইডারের হিন্দী ডাবড অথবা বাংলা সাব এর জন্য চরমভাবে অপেক্ষায় আমি ।
'

Once Upon a Time Mumbai (2010) রিভিউ


অজয়, ইমারান হাসমী, কঙ্গনা রানৌত, প্রাচী দেশাই ও রান্দীপ হুডা অভিনীত 28 কোটি বাজেটের এই মুভিটির ততকালীন বক্স অফিস কালেকশন ছিলো ৯৪ কোটি বা তার বেশী।
মুম্বাই আর সুলতান মির্জা। মুম্বাইর সাথে ছোট বেলা থেকেই শুরু সুলতান মির্জার সখ্যতা।
মুম্বাই তার ভালোবাসা, প্রেমীকা। যতো গায়ের কানুনী ধান্ধাই করুক না কেনো কখনো ভালোবাসার শহরকে গান্ধা হতে দেয় নি সুলতান।মুম্বাইর অলি গলি কে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব ছিলো তার।
 প্রশাসনিক বিরোধী কাজ- কর্ম করলেও সমাজ বিরোধী কাজ করতো না কখনো, তাই তো ধীরে ধীরে  মুম্বাইর অসহায়  মানুষগুলোয়  দেবতায়  পরিণীত হয় সুলতান।
মুম্বাই ছাড়াও সুলতানের আরেকটি দুর্বলতা ছিলো। তা হলো ফিল্ম স্টার রেহানা।
অতঃপর এক  দিন  একে অপরের সাথে শুটিং স্পটে দেখা ও ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরী হওয়া।
মুম্বাই এর আরেক লাগামহীন  চতুর বালক শোয়েব।
বাবা পুলিশ হলেও ছেলে ছোট বেলা থেকে এক দুর্দর্শ চোর। শোয়েবের সপ্ন মুম্বাই শহর একদিন তার হাতের মুঠে করে নেয়া, চাই তা মুম্বাইকে  সহিংস  বা মানুষের লাশ বিছিয়ে হোক না কেনো, অরাজকতার রাজ প্রতিস্থাপনই তার মূল উদ্দেশ্য। এই সপ্ন নিয়ে একদিন শোয়েবের দেখা  সুলতানের সাথে। অতঃপর একে অপরের আস্থা অর্জন ও বন্ধুত্ব। শোয়েব চোর হলেও মুমতাজকে ভালোবাসে মনে প্রাণে।মুমতাজও ভালোবাসে সব কিছু দিয়ে।
 এই মুভিতে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করে রান্দীপ হুডা।
রান্দীপ হুডার অভিনয়  আমার কাছে সবসময় স্পেশাল, এখানেও আমার জন্য তেমনটাই ছিলো।
প্রাচী দেশাই এর অভিনয়ও আপনার ভালো লাগতে পারে।
সবচেয়ে সুন্দর ছিলো মুভির প্রত্যেকটা কথাই যেন একেকটা ডাইলগ।
আপমনি আমার মতো রাহাত ফাতেহ  আলী খানের গান পছন্দ করে থাকলে আপনার জন্য আছে মুভিতে একটি বেশ সুন্দর গান।
চাইলে আপনিও দেখতে পারেন।

October Sky (1999) মুভি রিভিউ



ধরুন আপনার জন্ম এমন এক জায়গায় যেখানকার মানুষের প্রধান পেশা হচ্ছে কয়লা খনিতে কয়লা খনন করা এবং আপনার বাবাও কয়লা খনিতে কাজ করা একজন শ্রমিক । এর বাইরে কোন কিছু করা এখানে অসম্ভব বলে ধরা হয়। কিন্তু আপনি সবার থেকে আলাদা চিন্তা করেন। আপনি জীবনে বড় কিছু হতে চান!  দুনিয়াতে নিজের সাফল্যের পদচিহ্ন আঁকতে চান সব বাধা আর উপহাস অতিক্রম করে। এমনই এক সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানানো হয়েছে "October Sky" সিনেমাটি।

১৯৫৭ সালের অক্টোবার মাসে পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ "স্পুটনিক" লঞ্চ হওয়ার পর তা আকাশে বিচরণ করতে দেখে "কোলউড" গ্রামের "হোমার হিকাম" নামে এক স্বপ্নবিলাসী কিশোরের ইচ্ছা জাগে রকেট বানানো শেখার।  যেন একদিন সেও এমন একটা কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করতে পারে। সে তার স্বপ্নপূরণে কাজ শুরু করে তার বন্ধুবান্ধব এবং স্কুলের এক ম্যাডামের সহায়তায়। কিন্তু পদে পদে হিকাম তার গ্রামবাসী এবং তার পরিবারের ঠাট্টা-বিদ্রুপের শিকার হয়। তার স্বপ্নপূরণের পথে সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার বাবা। কেননা তার বাবার ধারণা এইসব ছেলেমানুষি। তার  ইচ্ছা তার ছেলেও তার মত কয়লা খনিতে কাজ করুক বড় হয়ে। কিন্তু হিকামের ছিল অন্য ইচ্ছা। সে তার বন্ধুদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে তার স্বপ্নপূরণে। চালিয়ে যেতে
থাকে তার রকেট বিষয়ক বিদ্যা।

হিকাম কি শেষমেশ পেরেছিল তার স্বপ্ন পূরণ করতে? জানতে হলে দেখতে হবে এই মুভিটি।
অসম্ভব ইন্সপায়ারিং আর শিক্ষণীয় একটা মুভি এটা। সব বাধা বিপত্তি আর উপহাসের তোয়াক্কা না করে জীবনে এগিয়ে চলে সাফল্য অর্জনের শিক্ষা দেয় এই মুভি।

হোমার হিকাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যাক গিল্লেনহ্যাল। হিকামের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস কুপার। এছাড়া  হিকামের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ে করেছেন ক্রিস ওয়েন,  লি স্কট, উইলিয়াম লিন্ডবার্গ। হিকামের ম্যাডামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন লওরা ডার্ন।

Movie Name: October Sky(1999)
Genre: Biography,Drama,Family
Rotten Tomatoes: 90%
IMDb Rating: 7.8/10 (69k votes)
My Rating: 8.6/10 

IT (2017) মুভি রিভিউ


প্রবাবলি খুব অল্প মুভির মধ্যে 'IT' একটা মুভি যেটাতে এক্সপেক্টেশন হাই থাকার পরেও প্রচুর ভাল্লাগসে!

Hands down the best Stephen King  Live action যেকোনো কিছু.

আজকেই রিলিজ হলো সিনেপ্লেক্স এ।

ফার্স্ট অফ অল সবার ই এই মুভিটা দেখতে যাওয়া উচিত একটা আসল হরর মুভি চিন্তা করে।

 একটা ভয়ংকর ক্লাউন আর কিছু বাচ্চা কাচ্চা নিয়া দেখে বাসার পিচ্চিদের নিয়া দেখা যায় এরকম থ্রিলার টাইপ মুভি কিন্তু না!

বেশ কিছু Gore Type এবং অন্যান্য ডিস্টার্বিং সিন আছে।

আরো কারো যদি কার্স ওয়ার্ড নিয়ে চুলকানি থাকে তাহলেও সমস্যা।  এই মুভিতে প্রচুর এফ ওয়ার্ড ইউজ করা হইছে :3

অনেক এ বাচ্চকাচ্চা নিয়া আসায় ইন্টারমিশন এ সুন্দর মতো উঠে বের হয়ে গিয়েছেন :3

It's a R Rated Movie.
১৫,১৬ বছরের নিচে কারো দেখাই উচিত না এই ছবি (অন্তত বড় পর্দায়)।

কিন্তু সারপ্রাইজিংলি এই মুভি টা টেরিফায়িং হলেও কাওকে ডেট হিসেবে নিয়ে খুব মানিয়ে যাবে।

স্টোরি সামারি হিসেবে বলা যায়

একটা ছোট শহর যেখানে ঠিক ২৭ বছর পর পর অনেক জন ছেলে মেয়ে মিসিং হয়ে যায় তাদের আর খুজে পাওয়া যায় না। ঘটনাচক্রে কিছু টিনএজারস এর লুজারস ক্লাব খুজে পায় এর পেছনে Pennywise The Dancing Clown নামে এক ডেমোনিক এনটিটি আছে।

স্ক্রিপ্ট যে লিখসে সে অসাধারণ একটা কাজ করসে। এক মুহুর্তের জন্যও আপনি পর্দা থেকে চোখ সরাতে পারবেন না।

একটা স্টিফেন কিং এর হরর উপন্যাস শুধুমাত্র হরর এর দিকে কখোনো পুরোপুরি ফোকাস দেয় না। সমাজের বিভিন্ন অসংগতি  তুলে ধরা হয়।

এই মুভি টা এই জিনিসটা খুব ভালো ভাবে করেছে।
ঘটনার নিজস্বতা আমরা খুব কাছ থেকে অনুভব করতে পারি।

এই শুধু স্ক্রিপ্ট হাতে দু কাপ কফির সাথে দিলে অনায়াসে পড়ে এনজয় করা যাবে।

আমি 'IT' মিনি সিরিজ টাও দেখেছিলাম কয়েকদিন আগে। সেখানে মূলত ক্লাউন a.k.a Pennywise এর দিকে ফোকাস করে করা হয়েছে সিরিজ টা।

এই মুভিতে আরো পার্সোনাল একটা স্টোরি দেখা গিয়েছে কিছু ১৪ বছরের ছেলেপেলের।

কাস্ট গুলা খুবই মারাত্নক হইসে। সেকেন্ড চাপ্টার এর কাস্ট ও আশা করি এই কাস্ট এর মান রাখতে পারবে।
বিশেষ করে ' Stranger Things ' এ অভিনয় করা Finn Wolfhard এবং Pennywise এর চরিত্রে Bill Skarsgard অনেক অসাধারণ অভিনয় করেছে।

 Finn এর কমেডিক টাইমিং খুব ভালো ছিলো।
লাস্ট এ এই ক্যারেক্টার এর একটা পাঞ্চ ডায়ালগ থাকে যার জন্য পুরো হল তালি দিতে বাধ্য হয়েছিলো!

Directing and Cinematography was top notch. সেকেন্ড চাপ্টার এর জন্যও এই ডিরেক্টর থাকলে বেস্ট হবে।

'It' is a terrifying story based movie that has Sadness, comedy and rommance too!

ফাইনালি এমন একটা মুভি যা শেষ হওয়ার পর পর চাপ্টার ওয়ান লিখা টা উঠার সাথে সাথে খেয়াল করবেন হলের সবাই তালি দিচ্ছে। যা হরর মুভিতে সচরাচর হয় না।

আমি হয়ত ৮ দিবো ১০ এ এই মুভি কে।

Rotten Tomatoes - 85%

IMDB - 8

Forrest Gump (1994) মুভি রিভিউ


"Life was like a box of chocolates. You never know what you're gonna get."

বোকাসোকা ফরেস্ট গাম্প, কোনো এক বাস স্টেশনে বসে আছে ৯ নম্বর বাসটি ধরে গন্তব্যে পৌছানোর জন্যে... বাস আসতে দেরি আছে। এমনিতে প্রচুর কথা বলে সে। একা একা চুপচাপই ছিলো, যেই পাশে এক মহিলা এসে বসলো - অমনি তার কথার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে দিলো, একে একে একমনে বলতে লাগলো সেই ছোট্টবেলার কথা, যখন তার মা স্কুলে ভর্তির জন্যে নিয়ে গেলে তার আইকিউ লেভেল দেখে টিচার ভর্তি নিতে চায় নি। সেই ছোট্টবেলার কথা, যখন জেনি নামের মেয়েটা তার মন দখল করে বসলো আজীবনের জন্যে! তারপর বড় হয়ে যেসব বিচিত্র পরিস্থিতি আর অনুভূতির সম্মুখীন হতে হয়েছিলো তাকে!! জীবন বিচিত্রময়! বড্ড বেশি বিচিত্র...  বাস্তবে টম হ্যাঙ্কসের মত অত বেশি বিচিত্র কারো লাইফে হয় না যদিও, তবে এমনই তো হয় জীবন! পদে পদে নতুন এবং অপ্রত্যাশিত কিছু!

হাসি পাচ্ছিলো খুব অটিজমে আক্রান্ত গাম্পের বোকাসুলভ আচরন দেখে, আবার গম্ভিরও হতে হয়েছে ইমোশনাল টাচ দেখে! টম হ্যাঙ্কসের অভিনয়? লোকটা হলিউডের সর্বকালের সেরা অভিনেতাদের একজন! এরপরও সে কি অভিনয় করেছে, বলার প্রয়োজন নেই!

এত বেশি ইন্সপায়রেশন মুভিটায়, বলার মত না...  জেনির সেই প্রার্থনাটুকু, "Dear God, make me a bird. So I could fly far. Far far away from here."

মুভিটি ৯টি অস্কার সহ দুনিয়ার সকল বড় বড় এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের হিংসভাগ পুরস্কার নিজের ঝুলিতে আনতে সক্ষম হয়েছিলো!! অর্থাৎ বলা যায়, আপনি যদি এখনও মুভিটি না দেখে থাকেন, তাহলে আপনার কপাল খারাপ! রিয়েলি! মানে আমি বলতে চাচ্ছি মুভিটা দেখা মিস করা উচিত না আপনার!

Director: Robert Zemeckis
Cast: Tom Hanks, Robin Wright.
IMDb Ratting: 8.8/10
Personal Ratting: 8/10

Perfume: The Story of a Murderer (2006) মুভি রিভিউ




       পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের একটি হলো নাসিকা, পৃথিবীর প্রতিটা জিনিষের রয়েছে নিজস্ব আলাদা গন্ধ/দুর্গন্ধ, দু চোখে আমরা এইযে যা দেখি মাটি,পাথর,পাতা,গাছ,পানি এমনকি প্রতিটা জন্তুর বস্তুরও রয়েছে আলাদা গন্ধ যা মানুষ বা সব জীব জন্তুই অনুভব করতে পারে তার নাক দিয়ে, আমাদের ঘ্রাণ শাক্তি কতোটুকু? কেউ সুগন্ধি লাগিয়ে আসলে বা দুর্গন্ধ জড়িয়ে আসলে আমরা টের পাই, আমাদের ঘ্রানশক্তির একটা পরিমাপ আছে এর বেশী ঘ্রাণ বা এর থেকে দূরের বস্তুর ঘ্রাণ পাইনা, যতোটুকু জানি সবচেয়ে বেশী ঘ্রাণ শক্তি রয়েছে কুকুরের যা মানুষে থেকেও ৫গুণ (মতান্তরে ইঁদুর,পিপিলিকা,হাতি) যদি বলি এর থেকেও শতগুণ প্রখর ঘ্রাণ শক্তি আছে কোনো মানুষের তাহলে??
হ্যাঁ Perfumeএ সেই চরিত্রের চিত্রায়নই করা হয়েছে,
১৯৮৫ সালে জার্মানের বিখ্যাত লেখক প্যাট্রিক সাসকাইন্ড রচনা করেন "Perfume" নামের বিশ্ববিখ্যাত বইটি। যা পৃথিবীর ৪৫টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে।
আর সেই বিশ্ববিখ্যাত বইকে পর্দায় নিয়ে আসতে হুট করেই সিদ্ধান্ত নেন জার্মান পরিচালক টম টাইকার।
বইটির লেখক শঙ্কিত ছিলেন তার বইয়ের চরিত্রগুলো উপস্থাপনে ব্যার্থ হওয়ার সম্ভবনাই বেশী তাই সে বিগত ১৫বছর বিভিন্নজন থেকে অফার পেয়েও ফিরিয়ে দেন, অবশেষে ২০০০সালে তিনি গল্পটি তুলে দেন টম টাইকারের হাতে।
বাট মেইন ক্যারেক্টার কে প্লে করবে?? তা নিয়ে ধুম্রজালের শেষ ছিলো না সবাইকে অবাক করে পরিচালক সুদূর ইংল্যান্ড থেকে ধরে নিয়ে আসলেন Ben Whishaw নামক এক নতুন মুখ। এই নতুন মুখ নিয়ে সমালোচকরা পরিচালকের জাত উদ্ধার করতে ভুলে যাননি। এই নতুন মুখ কতটা দিতে পেরেছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ, কিন্তু প্রথম মুভিতেই জাত চিনাতে ভুল করেনি এই তরুণ অভিনেতা। যেনো অভিনয়টা একটা শিল্প আর সে নিখুঁত শিল্পী। অভিনয় দিয়ে মুখ বন্ধ করেছেন বড় বড় সিনেবোদ্ধাদের।
অভিনয় কাকে বলে,চরিত্রের মধ্যে মিশে যাওয়া কাকে বলে, এটা সে দেখিয়ে দিয়েছে, ঘটনা প্রবাহে কঠিন পরিস্থিতিতেও এক্সপ্রেশনটা শুধু সুবাসবিদ্ধ রাখার যে অভিনয়টা সত্যিই অবাককর।

           আসলে কিছু মুভি ভিতরে খুব চাপ ফেলে, হাজার ট্যানশনেও মুভিটি মাথা থেকে সরানো মুশকিল হয়ে পরে, আমি তথাকথিত কমার্শিয়াল মুভি যেগুলোর মূর উপাদান ফাইট,কমেডি,রোমাঞ্চ সেগুলোর কথা বলছিনা, এসব মুভি দেখার পর যদি ভালোও লাগে তার স্থায়িত্ব থাকবে বড়জোর ২ঘন্টা এর পর কেউ জিজ্ঞেস করলে অনিহা দেখাবেন বা বলবেন "ভালোই,খারাপ নাহ".....
বাট আমি যে মুভির কথা বলছি সেটা দেখার পাঁচ বছর পরেও কেউ মুভির কথা অনিচ্ছায় মনে করিয়ে দেয় আপনি আবার দেখার জন্যে মনস্থ করবেন।

Perfume...
            মুভিটির কোন দিকটা আপনার ভালোলেগেছে নির্দিষ্ট করে বলা বহুত কঠিন হয়ে যাবে সিনেমাটোগ্রাফি, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, সেট, একদম ক্ষুদ্র বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া, পুরো মুভিটার মেকিং স্টাইল, কাহিনী প্রবাহ, পরিবেশ, চরিত্রগুলোর গতিবিধি, এবং চূড়ান্ত পরিণতির দিকে আস্তে আস্তে ধাবিত হওয়া আপনাকে শুধু অবাকই করবেনা রীতিমত অভিভূত করবে।
মুভিটা যেহেতু সুগন্ধি নিয়ে, সুগন্ধি উৎপাদনের শহর প্যারিসকে নিয়েই গড়ে উঠেছে পারফিউম মুভির গল্প। আমরা যতোটুকু জানি/শুনেছি প্যারিস কবি সাহিত্যিকের দেশ, ছবির দেশ কবির দেশ। কিন্তু তা না শুধু, সতেরো আঠারো শতকের দিকে প্যারিস ছিল সুগন্ধি উৎপাদনের সর্গরাজ্য। এই আধুনিক যুগে ১৮শত দশকের সেই প্যারিসকে চিত্রায়ন যেভাবে করা হয়েছে, এতো নিখুঁত পরিবেশন আমি আগে দেখিনি, কোনো ভাবেই মনে হবেনা এটা এই সময়ের মুভি। মুভি দেখতে দেখতে কখন আপনি হঠাৎ চলে যাবেন সেই সময়ে টের ই পাবেন না..
মুভিটিকে জনরা ভিত্তিকভাবে সাঁজালে চলে আসবে ডার্ক থ্রিলার এর নাম, সাথে ড্রামা, এবং কিছু ফ্যান্টাসিও পাবেন।
             প্লট/গল্প নিয়ে বলতে গেলে বলা যায়... আবর্জনা,ময়লা,ডাস্টবিন থেকেও দুর্গন্ধযুক্ত পল্লীর মাছ বাজারের তলনীতে জন্ম নেয় এক শিশু, আগের তিনটি সন্তানের মতো এই শিশুকেও ফেলে দেয় নর্দমায় তার নির্মম মা। ঘটনা চক্রে তার আশ্রয় হয় এক আশ্রমে, সেখান থেকে চামড়া ব্যবসায়ীর কাছে এবং শিশু অবস্থাতেই সে নিজেকে আবিষ্কার করে, বুঝতে পারে তার আছে একটা নিজস্বতা, রয়েছে প্রখর ঘ্রাণ শক্তি, এই সুগন্ধি কে কিভাবে স্থায়ী করে রাখা যায়, বিভাবে পৃথিবীর সেরা পারফিউম তৈরী করে রাখা যায় সেই নেশায় পেয়ে বসে তাকে, এটা নেশা নয় আসক্তি, এরপর?? অবশ্যই মুভিটি দেখতে হবে।
গল্পের প্রথমেই আপনাকে গল্পের গভীর থেকে কেউ খিচে টাঁন দিবে,আর হারিয়ে যাবেন সেই জগতে।
মুভিটির দেখা শেষে তার পরতে পরতে নতুন কিছু আর সাথে মাথায় থেকে যাওয়া ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের এই ডার্ক থ্রিলার, ফ্যান্টাসি মুভিটি খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়াবে মাথা থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য। একই সাথে প্রচন্ডভাবে আকর্ষণীয় কিন্তু অতিমাত্রায় ভয়াবহ।

শুধু কি তাই? পারফিউম জার্মান ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যায়বহুল মুভি, এই মুভি তৈরি করতে পরিচালককে বাজেট নিতে হয়েছে অনেক। তৈরী করতে হয়েছে ৫হাজার কলাকৌশলীর একটা মুভি সেট, ঘুরে বেড়াতে হয়েছ ইউরোপের গোটা দশেক দেশে, মুভির গ্রাফিক্স থেকে শুরু করে সাউন্ড কোয়ালিটি সবকিছুই প্রশংসার দাবী রাখে।

এক নজরে মুভিটি....
--------
Perfume: The Story of a Murderer
Year: 2006
Origin: Germany
Language: English

Cast: Ben Whishaw, Alan Rickman, Rachel Hurd-Wood, Dustin Hoffman

Directed by: Tom Tykwer
Based on: 'Perfume' by Patrick Süskind

IMDb Rating: 7.5/10
My Rating: 9/10
Box Office: 165 million/60 million

Main Aur Charles (2015) মুভি রিভিউ



মার্চ , ১৯৮৬ – একজন লোককে ধরার জন্য পুরো ইন্ডিয়ান পুলিশ ফোর্স পাগল হয়ে গিয়েছিল ।
.
ভদ্রলোকের পরিচয় – অনেকগুলো । কখনো সে নেপালের রাজবংশীয় প্রিন্স, কখনো রত্ন ব্যবসায়ী আবার কখনো শুধুই বাবার বখে যাওয়া প্লেবয় সন্তান । অনেকগুলো নাম তার, অনেকগুলো জাতীয়তা । বেশ কয়েকটি ভাষায় সে কথা বলতে পারে অনর্গল, এমন একটা ব্যক্তিত্ব, কেউই তার আকর্ষণ এড়াতে পারে না । শেয়ালের চেয়েও ধূর্ত সে, নেকড়ের চেয়েও হিংস্র , আপাদমস্তক রহস্যময়। অন্যেরা যখন তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করে, সে তার ভবিষ্যত লিখে, এমনভাবে লিখে– যার ওপরে মুভি বানানো যায় ।
.
লোকটার নাম চার্লস, চার্লস সোবরাজ ।
.
ইতিহাসে সিরিয়াল কিলারদের মাঝে এই অসাধারণ প্রতিভাধর খুনি বিখ্যাত তার ক্ষুরধার বুদ্ধির কারণে । হিপ্পি ট্যুরিস্টদের টার্গেট করা এই খুনির ডাকনাম ‘ দ্য বিকিনি কিলার’ আর ‘দ্য সার্পেন্ট’ । বারবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু সে বেরিয়ে গেছে জেল থেকে – যখন সে চেয়েছে তখন । যখন সে ধরা পড়তে চেয়েছে, সে ধরা পড়েছে । জেলখানায় সে নেশার আসর বসিয়েছিল, ছিল সিনেমা আর প্রেমিকাদের অবাধ যাতায়াত । তাকে আদালতে নেয়া হলে দেখা যায়, তার বিপক্ষে আসলে কারও কাছে তেমন কোন প্রমাণ নেই ।
.
Main Aur Charles – এই খুনির জীবন নিয়ে বানানো বলিউডের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড সিনেমাগুলোর একটা । দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন রণদীপ হুদা – যিনি নিজেই বলিউডের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড অভিনেতাদের একজন । ক্যারিশম্যাটিক, ধূর্ত , রহস্যময় চার্লস – আর তার জীবনের একটা বড় ট্যুইস্ট – তার প্রিজন ব্রেক ।
.
রিচা চাড্ডা , মন্দানা কারীমি মুভিতে পর্যন্ত গ্ল্যামার এনেছেন :P আদিল হোসেন – চমৎকারভাবে মানিয়ে গেছেন চরিত্রের সাথে । গানগুলো বেখাপ্পা লেগেছে, পুষিয়ে গেছে দারুণ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে । আশির দশকের ছাপ পাওয়া যায় মিউজিকে, পোশাকে , হেয়ারস্টাইলে। এই মুভির নায়ক, ভিলেন, রম্যঅভিনেতা – সবকিছু একজনই ।
.
.
লোকটার নাম চার্লস, চার্লস সোবরাজ ।